বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেরানীগঞ্জে সকল প্রকার বিপনি বিতান ও শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মাত্রাতিরিক্ত জনসমাগম ও সরকারি নির্দেশ না মেনে দোকানপাট খোলা রাখায় উপজেলার রুহিতপুর এবং বোডিং মার্কেটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৬ মে শনিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল গুলো বন্ধ থাকবে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বনিক সমিতির নেতাদের উপস্তিতিতে আজ বেলা ২ টায় মার্কেট বন্ধ করেদেয় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে তাকে সহায়তা করে নতুন সোনাকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু, রুহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী, ২ ওয়ার্ডের মেম্বার জজ মিয়া, বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নতুন সোনাকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদ আলম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ যে, সরকার আটটি শর্তে সীমিত আকারে দোকানপাট খোলে দেয়ার অনুমতি দিলেও তা মানছিলোনা ক্রেতা বিক্রেতার কেউ।
সরেজমিনে গিয়েও দেখা গেছে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরে, আটিবাজার, জিনজিরা, কলাতিয়া সহ উপজেলার সকল মার্কেটগুলোতেই উপচে পড়া ভির। মানছেনা কোন শর্ত, বজায় রাখছেনা সামাজিক দুরত্বও।
এর আগে গত ১৩ মে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেব নাথ এর নির্দেশে বিভিন্ন শপিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহেল এর নেতৃত্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় এবং মাত্রাতিরিক্ত জনসমাগম হওয়ায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাজার বন্ধের ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, দোকানগুলোতে কোন সেফটি ছিলোনা। সরকারের দেয়া শর্ত পূরণ না করেই ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে বাজার চালিয়ে আসছিলো মালিক পক্ষ।
ব্যবসায়ীরা সকলে মিলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে খুলে দেয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানানো হয়। এসময় তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবো।